মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কটাক্ষের জবাব দিলেন সুইডিশ পরিবেশ আন্দোলনকর্মী গ্রেটা থুনবার্গ। ট্রাম্প সম্প্রতি থুনবার্গকে ‘রাগী’ ও ‘সমস্যাসৃষ্টিকারী’ বলে মন্তব্য করে বলেন, তার ‘রাগের চিকিৎসা করা উচিত’। এরই জবাবে মঙ্গলবার সকালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইনস্টাগ্রামে পাল্টা মন্তব্য করেন ২২ বছর বয়সী এই জলবায়ু কর্মী।
গ্রেটা লেখেন, ‘আমি শুনেছি, ডোনাল্ড ট্রাম্প আবারও আমার চরিত্র নিয়ে তার ‘মুগ্ধকর’ মতামত প্রকাশ করেছেন। আমার মানসিক স্বাস্থ্যের প্রতি তার উদ্বেগের জন্য আমি কৃতজ্ঞ।’
তিনি আরও লেখেন, তবে যদি তার কাছে কোনো ভালো পরামর্শ থাকে রাগ নিয়ন্ত্রণের ব্যাপারে, আমি তা জানতে আগ্রহী—কারণ তার নিজের রেকর্ড দেখে মনে হয়, তিনিই হয়তো এর সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন বোধ করছেন।
সম্প্রতি ইসরায়েল কর্তৃপক্ষের হাতে গ্রেপ্তার ও পরবর্তীতে ছাড়া হওয়ার পর ট্রাম্প থুনবার্গকে কটাক্ষ করেন। তিনি বলেন, গ্রেটা এখন আর পরিবেশ নিয়ে নয়, বরং সমস্যাসৃষ্টিতেই ব্যস্ত। তার রাগের সমস্যা আছে। আমার মনে হয়, তার একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া দরকার।
ট্রাম্পের ভাষায়, ‘তুমি কখনো ওকে লক্ষ্য করেছ? সে তরুণী, কিন্তু ভয়ানক রাগী। একেবারে পাগলাটে।’
এটি প্রথমবার নয় যে ট্রাম্প ও থুনবার্গের মধ্যে বাকযুদ্ধ হয়েছে। গত জুনেও ট্রাম্প তাকে ‘অদ্ভুত’ ও ‘রাগী’ বলে আখ্যা দিয়েছিলেন, যখন গ্রেটা গাজায় মানবিক সহায়তা নিয়ে যাওয়ার একটি মিশনে অংশ নিয়েছিলেন। তখন থুনবার্গ পাল্টা জবাবে লিখেছিলেন, ‘বিশ্ব এখন আরও বেশি রাগী নারীর প্রয়োজন।’
এরও আগে, ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে জাতিসংঘে জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে বক্তব্য দেওয়ার পর, তিনি ১৬ বছর বয়সী থুনবার্গকে ব্যঙ্গ করে বলেছিলেন, ‘সে খুবই সুখী এক তরুণী, যার ভবিষ্যৎ খুব উজ্জ্বল।’
২০১৮ সালে ‘ফ্রাইডে ফর ফিউচার’ আন্দোলন শুরু করে বিশ্বজুড়ে পরিচিতি পান গ্রেটা থুনবার্গ। বর্তমানে তিনি জলবায়ু আন্দোলনের পাশাপাশি গাজার মানবিক সহায়তা কার্যক্রমেও সক্রিয়ভাবে যুক্ত রয়েছেন।
ইসরায়েল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর সোমবার গ্রিসে পৌঁছান থানবার্গ, যেখানে তাকে উচ্ছ্বাসের সঙ্গে স্বাগত জানায় প্রায় ১৬০ জন কর্মী ও সমর্থক। ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, তারা মোট ১৭১ জন কর্মীকে গাজামুখী সেই ৪২টি নৌযান থেকে আটক করে বহিষ্কার করেছে।